Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভাষা ও সংষ্কৃতি

 

সাতকানিয়া উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগোলিক অবস্থান এ উপজেলার মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি গঠণে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের দক্ষিন-পূর্ব অঞ্চলে আবস্থিত এ উপজেলা। এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার মতো নয়, কিছুটা বৈচিত্র খুঁজে পাওয়া যায়।যেমন কথ্য ভাষায় মহাপ্রাণ ধ্বণী অনেকাংশে অনুপস্থিত, অর্থাৎ ভাষা সহজিকরণের প্রবণতা রয়েছে। সাতকানিয়া উপজেলার আঞ্চলিক ভাষার সাথে সন্নিহিত নোয়খালি ভাষার অনেকটা সাদৃশ্য রয়েছে। সাঙ্গু নদীর গতি প্রকৃতি এবং বান্দরবান পাহাড়ের পাদদেশে সাতকানিয়া মানুষের আচার আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, সংস্কৃতি ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এই এলাকার ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, সাতকানিয়া সভ্যতা বহু প্রাচীন।

কিছু প্রত্নতাত্বিক নিদরশন-

১। খ্রিষ্টীয় ১৫ শতাব্দিতে নিরমিত সাতকানিয়া ইউনিয়নের দরগাঁ মসজিদ, সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ডেপুটি মসজিদ

২। সাতকানিয়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ঠাকুরদিঘী, সোনাকানিয়া ইউনিয়নের বারদোনার কোতোয়াল দিঘী, এওচিয়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক দেওদিঘী

যেসব সংস্থা সাংস্কৃতিক বিষয়ে সাতকানিয়ায় কাজ করে সেগুলো হলো:

১। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী

২। সরকারী গণ গ্রন্থাগার ইত্যাদি

চট্টগ্রাম একটি প্রাচীন ভূখ- এবং ইতিহাস সমৃদ্ধ জনপদ। শত শত বছরের পথ পরিক্রমায় এখানে এসেছেন বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মানুষ। কেউ এসেছেন বসতি স্থাপন করতে , কেউ ব্যবসার উদ্দেশ্যে , কেউ রাজ্য স্থাপন করতে, কেউ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে , কেউ ধর্মপ্রচার কিংবা চাকরি সূত্রে আর কেউ এসেছেন প্রকৃতির অপরূপ শোভা-শামত্মময় পরিবেশে একামেত্ম সৃষ্টি কর্তাকে পাবার আশায়। তাই চট্টগ্রাম পরিণত হয়েছে জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের মিলনকেন্দ্র রাপে। যে কারণেই হউক এখানে যখন যারা এসেছে , চট্টগ্রামকে ভাল না বেসে পারেনি। চট্টগ্রামের অনিন্দ্র-সুন্দর প্রকৃতিক সৌন্দর্য ও সম্পদ. এর ভৌগোলিক অবস্থান, যোগাযোগ সুবিধা, উর্বর ভূমি, এর জলবায়ু ও আবহাওয়া সমসত্ম কিছুতেই মানুষ মুগ্ধ হয়। প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান পর্যমত্ম কোন মানুষ একবারের জন্য এলেও চট্টগ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাসের চিন্তা করেন। ছান্দসিক কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ভাষায়-

সিন্ধু- মেখলা ভূধর-সত্মনী রম্যানগরী চট্টগ্রাম

অয়ি বরাঙ্গী! শ্যামলা, শোভনা,নিবিড় কানন কুমত্মলা।

নীলিমা- শ্যামলে, কঠিনে-কোমলে অপরূপা রূপস্ফুর্তি গো

চট্টলা তুমি বঙ্গভবভূমির ভুবনেশ্বরী মূর্তি গো।